আবু সালেহ মুসাঃ
তানজিল পরিবহন। সদরঘাট থেকে মীরপুর আন্সার ক্যাম্পে যার রুট। কিন্তু এই পথযাত্রায় নানাভাবে তানজিল পরিবহনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে নারীদের সাথে দূর্বব্যবহারের ঘটনা।
ঘটনাঃ ১| আশিকা জান্নাত৷ শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ইসলামিক স্টাডিজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। বাবাকে নিয়ে কলেজে ভর্তি হয় মীরপুর ফিরছিলেন। পথিমধ্যে জ্যামে তার বাবা পানি কিনতে বাস থেকে নামেন। এমন সময় জ্যাম ছেড়ে দিলে, বাস ও কালক্ষেপণ না করে টানতে শুরু করে৷ এ সময় জান্নাত বাস থামাবার অনুরোধ করলেও কর্ণপাত না করে বাস চলছিলো তার গতিতেই। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে জান্নাত বলতে থাকে, তাহলে আমাকে নামিয়ে দিন। আমার বাবা হার্টের রুগী। এতোকিছুর পরেও বাস চলছিলোই। অন্য যাত্রীরা একই সঙ্গে মেজাজের সাথে কথা বললে বাস কিছুটা মন্থর হয়, কিন্তু থামেনা। চলন্ত বাস থেকেই লাফ দিয়ে নামতে বাধ্য হয় আশিকা। এতে করে তার হাটু ছিলে যায় ও নখ উঠে যায়।
ঘটনাঃ ২| মুসাররাত তাসমিয়া রহীম। পড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের ৩য় বর্ষে। গত লকডাউনে ভিড়ের মাঝে তানজিল পরিবহনে উঠে পরে যান বিপাকে। গাড়িতে দাড়ানোর যায়গাটুকু না থাকায় গাড়ি থেকে নামতে চাইলেও চালক কর্ণপাত ই করছিলেন না। একইভাবে হালকা গতিতে চালানোর সময় বা পা দিয়ে নামার জন্য পরামর্শ দিচ্ছিলো চালকের সহকারী। সেই অবস্থায় নামতে গিয়ে তিনি রাস্তার মাঝেই পড়ে যান।
সড়কে এতো আন্দোলনের পরেও তানজিল পরিবহনের ঘটনাগুলো নিয়ে ভুক্তভোগীরা শঙ্কিত, আদৌ কি নিরাপদ সড়ক বা নারীর অধিকার রক্ষা হচ্ছে?