অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক। বলেছেন বিশ্বব্যাংক যে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিল তার কোনো ভিত্তি ছিলো না।
বুধবার (৮ জুন) জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও দেশের বৃহৎ এ অবকাঠামোর উদ্বোধনের তারিখ চূড়ান্ত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা জানান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের পথ মসৃণ ছিল না, ছিল বন্ধুর। প্রথমে বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা অর্থ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে বিশ্বব্যাংক জানায় অভিযোগ আছে, তদন্ত করতে হবে। ফের জানায় তারা অর্থ দেবে না। আমি সে সময় দুদকের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। তখন প্রধানমন্ত্রী ছাড়া সরকারের কিছু ব্যক্তি বলেছিলেন পদ্মা সেতুর অর্থায়নের জন্য বিশ্ব ব্যাং যা যা চায়, দিয়ে দেওয়া হোক। তখন আমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হতো, তিনি বলেছিলেন, এ জন্য আমার বাবা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করেননি।
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, তখন আমরা বিশ্বব্যাংককে তদন্ত কমিটিতে প্রতিনিধি দিতে বলেছিলাম। তারা যে তিন জনের নাম দিয়েছিল তাদের মধ্যে ওকাম্ব নামে একজন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে অপসারিত হন। এরপর তারা আমাদের বলে এফআইআরে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের নাম নেই কেন। আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার সঙ্গে চীনের একজন দেখা করেছিলেন। আমি বললাম, একজন দেখা করলো তাতে কী হয়েছে? আমার সঙ্গেও তো একজন দেখা করতে পারে, আর আমি অভিযুক্ত হয়ে যাব? এ নিয়ে তারা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল। রাজসাক্ষী করার জন্য একজনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাংলাদেশে আর আসতে হবে না।
তিনি বলেন, সেই অভিযোগ নিয়ে কানাডার আদালতে মামলা হয়। ওই মামলার শুনানির সময় আমি কানাডা যাচ্ছি এমন সময় ঢাকায় দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ফোন করে বলেন, তুমি তো যাচ্ছো, তুমি কোনো সহযোগিতা পাবে না। কেউ তোমার ছায়াও মারাবে না। কানাডার কোর্ট বলেছিল এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।