আবু সালেহ মুসা
বর্তমান বিশ্ব যেন টিকেই আছে তথ্য প্রযুক্তির উপর ভিত গড়ে। আর এই তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি কে নিয়েই আমাদের এবারের ইন্টারভিউ এ যোগ দিয়েছেন আস্থা আইটির সহকারী সহ সভাপতি হারুন-অর-রশিদ।
বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রির প্রথম থেকেই আছেন বর্তমান আস্থা আইটির এসিস্টেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হারুন-অর-রশিদ। কাজ করছেন গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড সফটওয়্যার এর ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী কোম্পানির সাথে। তুলে ধরেছেন আইটি ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ সুযোগগুলো।
প্রথমেই জানতে চাওয়া হয় বর্তমান আইটি ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে।
– “আজ থেকে ১০ বছরের আগের আই, টি ইন্ডাস্ট্রি এবং এখনকার আইটি ইন্ডাস্ট্রি সম্পূর্ণ আলাদা। আগে দেখা যেত কোম্পানিগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানে সফটওয়্যার ইমপ্লিমেন্ট করতে ভয় পেত। এখন বিভিন্ন অটোমেশন টুল আসায় কোম্পানিগুলো কাজকে দ্রুতগতিতে করার জন্য নিজেরাই সফটওয়্যার খুজছেন কোম্পানিগুলো। এই দশ বছরে প্রযুক্তির যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনই পরিবর্তন হয়েছে মানুষের চিন্তাধারারও। এই চিন্তাধারা এভাবে এগোতে থাকলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত হতে বেশি সময় নিবেনা। কারন প্রযুক্তির উন্নয়নের উপর অনেকাংশে অনেককিছু নির্ভর করে।”
বাজারে দক্ষ লোকবল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, -“বাংলাদেশের বাজারে দক্ষ লোকবলের অভাব নেই। আগে একটা সময় ছিলো সীমিত লোকজন CSE নিয়ে পড়াশোনা করতো। কিন্তু এখন এই সেক্টরে পড়াশোনার আগ্রহ সবার মাঝে বেশি। সরকারও এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ট্রেইনিং প্রোগ্রাম নিয়ে। সমস্যাটা হলো একটি জায়গায় আর তা হলো কমিউনিকেশন স্কিলের অনেক অভাব। দেখা যাচ্ছে দেশের বাইরের কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাথে কথা বলতে গেলে তারা অনেক সময় পারেননা। যার জন্য দেশের বাইরের কাজগুলো পাওয়ায় এখনো আমরা পিছিয়ে আছি অন্যান্য দেশগুলো থেকে। তাই এই জায়গাটায় আমাদের সকলের একত্রিত হয়ে অনেক কাজ করতে হবে তাদের দক্ষ করার জন্য।”
হারুন-অর-রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি আইটি ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে। সে প্রেক্ষিতে তিনি জানান,
– “আমরা আস্থা আইটিতে বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেশের বাইরের কোম্পানিগুলোর সাথে কাজ করছি। আমরা যেমন দেশের বাইরের প্রযুক্তির উন্নয়নে অংশগ্রহণ করেছি তেমনি বাংলাদেশের প্রযুক্তির উন্নয়নেও আমরা কাজ করা শুরু করেছি। আর তার জন্য আমরা আমাদের দেশের লোকবলের যথোপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করছি যাতে তারা দেশের পাশাপাশি বাইরের কাজগুলোতেও অংশগ্রহণ করতে পারে। মূলত আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রযুক্তির উন্নয়ন করা এবং দেশীয় দক্ষ জনবলকে আরো দক্ষ করে বাইরের দেশের প্রযুক্তির সাথে যারা কাজ করছেন তাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া।”