করোনা মহামারির কারণে অনেক দিন বন্ধ ছিল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল। এরপর সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও ৫ দিন পর আবার বন্ধ হয়ে যায়।
অবশেষে বন্ধ থাকা সবগুলো ট্রেন পুনরায় চালু হচ্ছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে পুরোদমে যাত্রী পরিবহনে ফিরছে রেলসার্ভিস গুলো।
লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষে গত ১১ অগাস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু হয়। এরপর মঙ্গলবার আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও ২৪ জোড়া মেইল ও কমিউটার রেল চলাচলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। আজ থেকে রেলবহরে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৪ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চালু হচ্ছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-পরিচালক (অপারেশন/সিডব্লিউসিএস) রেজাউল হক জানান, বন্ধ ট্রেন পুনরায় চালুর প্রস্তাবনা আংশিক সংশোধন পূর্বক যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সদয় অনুমোদিত হয়েছে। এর আগে জারি করা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ণরূপে ট্রেন সার্ভিস পাবেন দেশবাসী।
উপ-পরিচালক আরও জানান, সবাইকে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে গত মঙ্গলবার রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এ বিষয়ে একটি নির্দেশনাও জারি করা হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হলে অন্য সব যাত্রীবাহী গণপরিবহনের মতো ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। তবে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল অব্যাহত ছিল। চলাচল করে ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন এবং ক্যাটল ট্রেন।
ঈদ ঘিরে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল করা হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও ট্রেন চালু করে। এরপর ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হলে ট্রেনও থেমে যায়। সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১০ অগাস্ট শেষ হয়। ১১ অগাস্ট থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০২টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৬০টি লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।