স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযানের উদ্দেশ্য কাউকে হেনস্তা করা নয়, স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো।
বুধবার (১ জুন) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দিবস’ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবার অর্ধেক বেসরকারি খাত দিয়ে থাকে। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা তদারকি করার দায়িত্ব আমাদের। করোনায় বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাত ভালো কাজ করেছে।
তিনি বলেন, প্রায় ১১ হাজারের মতো বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টার হয়েছে। সেগুলোর মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দায়িত্বপ্রাপ্ত মানহীন এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া, অথবা সতর্ক করে দেওয়া ও সময় দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিক করে নেওয়া। বেসরকারি খাতের হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ব্লাড ব্যাংক যেন সঠিক হয়, মানুষ যেন প্রতারিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটি ক্লিনিক যেখানে অপারেশন হবে, সেখানে সঠিক ডাক্তার, অ্যানেসথেসিস্ট এবং সঠিক যন্ত্রপাতি থাকতে হবে। এগুলো না থাকলে, সেখানে অপারেশন করতে দেওয়া যাবে না। করলে সেটা অপরাধ হবে। এসব বিষয়ে আমরা এখন কঠোর নজর দিচ্ছি। ইতোমধ্যে এ লক্ষে কর্মসূচি চলছে। আমরা কাউকে হেনস্থা করতে চাই না, আমরা চাচ্ছি দেশের মানুষ যেন সঠিক সেবা পায়, ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আমাদের স্বাস্থ্যসেবার যেন দুর্নাম না হয়। যারা ভালো কাজ করছে আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রয়োগ করবো। আমরা আশা করি স্বাস্থ্যসেবায় আগামীতে আরও বেশি স্বচ্ছতা আসবে, স্বাস্থ্যসেবার মান আরও ভালো হবে।
করোনা প্রতিরোধে বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। আগামী ৪ জুন থেকে বুস্টার ডোজ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে অনীহা দেখা দিয়েছে। আমাদের এখনো প্রায় আট থেকে ১০ কোটি বুস্টার ডোজ টিকা দিতে হবে। টিকা নেওয়ার পর যাদের চার মাস অতিবাহিত হয়েছে তারা বুস্টার ডোজ নিয়ে নেবেন। করোনা বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। বুস্টার ডোজ টিকা নিলে আমরা আরও সুরক্ষিত হবো, নিরাপদে কাজ করতে পারবো।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সেনাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (উন্নয়ন ও প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর প্রমুখ।