আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বরিশালে সংঘর্ষের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাঁদের ছাড় দেওয়া হবে না বরং সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও যথাযথ বিচারের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে ক্ষমতা অপব্যবহার অথবা কোন অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সর্বদাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। দলীয় পরিচয়ের আড়ালে কোন অপরাধী কোনো দিন প্রশ্রয় পায়নি, পাবেও না।’
বরিশালে মেয়রের অনুসারী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাঁদের আইনের আওতায় আনতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন এবং অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার কোন সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেনি। বরং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় পরিপুষ্ট সন্ত্রাস ও দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বিস্তার প্রতিরোধে কাজ করছে।’
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসের সর্বগ্রাসী রূপ দেশবাসী দেখেছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যতবারই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে ততবারই তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। তাঁদের হাত ধরেই এ দেশের মাটিতে সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষ মহিরুহে পরিণত হয়েছিল, যার সর্বশেষ সংস্করণ ছিল উগ্র-জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাস।’
রাজনীতির নীতিকে নির্বাসনে দিয়ে বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের জনগণকে শাসন করতে চেয়েছিল দাবি করে বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘১০ ট্রাক অস্ত্র এনে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের চারণভূমিতে পরিণত করতে চেয়েছিল বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে আগস্টের ২১ তারিখে গণতান্ত্রিক কাঠামোর সকল শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে বিরোধী মতকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারা দেশের পাঁচ শতাধিক স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়। আওয়ামী লীগের হাত ধরে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি শান্তি ও সম্প্রীতির জনপদে পরিণত হয়েছে।’