রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন জামির কাবুলফকে আফগানিস্তানে বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে পাঠিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পুতিন গত শুক্রবার বলেছেন, ‘আফগানিস্তানের ওপর তালেবানের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হচ্ছে একটা বাস্তবতা যাকে মেনে নিতে হবে। নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানির ‘পুতুল সরকারের’ চাইতে তালেবানের সাথে দরকষাকষি করা অনেক সহজ।’
এছাড়াও অনেক বিদেশি দূতাবাসের মতো রাশিয়া কাবুলে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেনি এবং তালেবান নেতাদের প্রতি তাদের বক্তব্য ছিল ইতিবাচক। রুশ কূটনীতিকরা কাবুলের নতুন শাসকদের ‘সাধারণ মানুষ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং যুক্তি দেখিয়েছেন, আফগান রাজধানী এখন আগের চাইতে নিরাপদ।
কাবুল দখলের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রুশ অ্যাম্বাসেডর দিমিত্রি ঝিরনফ তালেবানের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করেছেন। এরপর তিনি বলেছেন, তালেবান যোদ্ধারা যে কোনো ধরনের প্রতিশোধ নিচ্ছে কিংবা কোনো সহিংসতা চালাচ্ছে এমন কোন প্রমাণ তিনি দেখতে পাননি।
জাতিসংঘে মস্কোর দূত ভাসিলি নেবেনজিয়াও আফগানিস্তানে আপোষের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বলেছেন। ‘বহু বছরের রক্তপাত অবসানের’ পর সে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, আশির দশকে রাশিয়া আফগানিস্তানে যে যুদ্ধ চালিয়েছিল তা ছিল রক্তাক্ত এবং একেবারেই অর্থহীন। আফগানিস্তানে ১৯৭৯ সালের রুশ অভিযানটি চালানো হয় একটি বন্ধু-প্রতিম সরকারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে। ঐ যুদ্ধে ১৫ হাজার রুশ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। রাশিয়াকে নয়-বছর দীর্ঘ এক বিপর্যয়কর লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল সে কথা হয়তো অনেকে রুশীর আজ মনে পড়বে না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা