তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে আফগানিস্তানে। হাজার হাজার আফগানরা আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন দেশে। এরই অংশ হিসেবে তুরস্কেও আশ্রয় নিয়েছেন বেশ কিছু আফগান। তাদের মধ্যে ২৫ জনকে আটক করেছে দেশটির আঙ্কারা পুলিশ।
সীমান্ত এলাকায় একটি ব্যারাকে তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। আফগান এসব অভিবাসন প্রত্যাশীরা বলছেন, তারা জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়েছেন।
কয়েক সপ্তাহ হেঁটে এসব অভিবাসন প্রত্যাশী আফগান ইরান হয়ে পৌঁছেছেন তুরস্কে। এখানে তালেবান আতঙ্ক না থাকলেও শরণার্থী এসব নারী-শিশুর মেলেনি মাথা গোঁজার ঠাঁই। জঙ্গলে পালিয়ে কাটছে প্রতিটি মুহূর্ত।
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে যারা কোন মতে থাকার একটা ব্যবস্থা করেছিলেন সেখানেও তুর্কি প্রশাসনের অভিযান। ভ্যান প্রদেশের একটি খুপরি ঘর থেকে আটক করা হয় ওই ২৫ আফগানকে।
অভিবাসন প্রত্যাশী একজন জানান, আমরা এখানে ঘুরতে আসিনি। জীবন বাঁচানোর তাগিদে যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে এসেছি। দেশে ফিরে গেলেই তালেবান আমাদের মেরে ফেলবে। তাই এখানে উপার্জন করে পরিবারকে রক্ষা করতে চাই। সব সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।
তুরস্কের দাবি- এরইমধ্যে দেশটিতে অবস্থান করছে প্রায় ৪০ লাখ শরণার্থী। নতুন করে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ জন্য সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
ভ্যান প্রদেশের গভর্নর মেহমেত ইমিন মিলমেজ বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গ্রামরক্ষীদেরও মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া যেসব এলাকায় সব সময় পাহারা দেওয়া সম্ভব না সেখানে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। কেউ প্রবেশের চেষ্টা করলেই তাকে ইরানে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছি। যদি কোনওভাবে কেউ ঢুকে পড়ে তাহলে তাকে আটক করছি।
জাতিসংঘ বলছে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ছেড়েছে ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ। এছাড়া নিজ দেশেই বাস্তুচ্যুত ৩৫ লাখের বেশি নাগরিক।